মাধবকুণ্ড যেভাবে যাবেন
মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত সিলেট থেকে ৭২ কি.মি. সেখানে যাবার জন্য ২টি রাস্তা রয়েছে। একটি রাস্তা ফেঞ্চুগঞ্জ - কুলাউড়া হয়ে আর অন্যটি বিয়ানীবাজার - বড়লেখা হয়ে। কদমতলী বাস ষ্টেন্ড থেকে সময় লাগবে কমবেশি ২ ঘন্টার সমান। বাস বিয়ানীবাজার হয়ে গেলে বড়লেখায় গিয়ে থামে আর অন্য দিকে কুলাউরা গিয়ে থামে। বাস ভাড়া জন প্রতি যথাক্রমে ৭০ টাকা। আবার সেখান থেকে সিএনজি রিজার্ভ নিতে পারেন ২০০-৩০০ টাকার মধ্যে। আর বর্তমানে করোনাভাইরাসে লকডাউনের সময় বাস ভাড়া দ্বিগুণ।
মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের পরিচিতি
বাংলাদেশে বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলায় বেশ কিছু ঝর্ণা রয়েছে তার মধ্যে বেশি পানি ও সবচেয়ে বড় ও ভয়ংকর ঝর্ণা হল মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত। মাধবকুণ্ডের যে ছড়াটি পাহাড় থেকে নেমে এসেছে তার নাম গঙ্গামারা ছড়া আর নিচে নেমে হয়ে গেছে মাধবছড়া যেটি একেবারে গিয়ে মিশেছে হাকালুকি হাওরে। মাধবকুণ্ড যে পাহাড়ে সেই পাহাড়টির নাম পাথারিয়া পাহাড় যার আদি নাম ছিল আদম আইল পাহাড়। পাহাড়ের মধ্যে রয়েছে বড় বড় গাছ ও বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পোকামাকড় যেগুলোর শব্দ শুনলে আপনার রিতিমতো পালাতে ইচ্ছে করবে। পাহাড় থেকে নিচে পড়া পর্যন্ত ঝর্ণার উচ্চতা প্রায় ১৬২ ফুট উঁচু। একসাথে প্রতি সেকেন্ডে ৫০০লিটার কিউসেক এর অধিক পানি পরে তাই বর্ষা মৌসুম ছাড়াও এর পানির গতি কখনো থেমে থাকেনি।
মাধবকুণ্ডে যা যা দেখার রয়েছে
মাধবকুণ্ডে দেখার জন্য রয়েছে পাহাড়ের উপর উঁচু নিচু চা বাগানের সারি ও খাসিয়াদের গ্রাম ও জীবন যাপন। মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে আসার আগে দেখতে পারেন মাধবকুণ্ড পার্ক যেখান থেকে ঝর্ণা দেখতে হলে পারি দিতে হবে পাহাড় ঘেষে প্রায় অর্ধ কি.মি.। পাহাড়ের মধ্যে রযেছে তীর্থ স্থান, রেষ্টুরেন্ট পার্ক ও গাছপালা।
মাধবকুণ্ড বাজার
মাধবকুণ্ড বাজারে বিভিন্ন ধরনের দোকানপাট রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখ্য হলো কাপড় ও খেলনার দোকান। এখানে কম টাকার মধ্যে খাসিয়া ও মনিপুরীদের তাতের কাপড় বেশ প্রসিদ্ধ গুনে ও মানে ও কাপড়ের ডিজাইনে অতুলনীয়।
এখান থেকে ক্যামেরাম্যান ভাড়া নিতে পারেন। বাজারে চোখে পড়বে ছোট ছোট পানের দোকান।
ফেরার সময় আসলাম সিএনজি করে বড়লেখা বাজারে ভাড়া রিজার্ভ ২০০ টাকা আর সেখান থেকে বিরতি বাস ছাড়ে প্রতি ঘন্টায়। রওয়ানা দিলাম বিকেল ৩ টার সময় বিয়ানীবাজার হয়ে ২ ঘন্টার ভিতরে পৌছালাম সিলেট কদমতলীতে। এছাড়াও আপনারা ঘুরতে পারেন মৌলভীবাজারের ৯০টির ও অধিক চা বাগানে, চায়ের দেশ শিমঙ্গলে ও হাম হাম ঝর্ণায়।
0 Comments