আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আজকে শেয়ার করব, আমার দ্বিতীয়বারের মত ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জে ভ্রমণ সম্পর্কে। আমি গিয়েছি গত মাসে ডিসেম্বর ২০২৩ সুতারকান্দি বর্ডার ক্রসিং দিয়ে যেটি বাংলাদেশের বিয়ানিবাজারের শ্যাওলা স্থল বন্দর সীমান্ত দিয়ে যেতে হয়। যেটি সিলেট শহর থেকে মাত্র ৪৫কি.মি দূরত্ব।
এই ভ্রমণ ব্লগ ২৪এ ৬টি পার্ট ভিডিও আকারে আছে চাইলে আপনারা আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে দেখে আসতে পারেন। এর আগে ৫ মাস আগে গিয়েছিলাম তার ৫টি পর্ব দেখতে পারেন। গত পর্বের করিমগঞ্জে থেকেছি ৭দিন কিন্তু এবার হাতে সময় কম থাকায় মাত্র ৩দিন গিয়ে থেকেছি।
১/ করিমগঞ্জে আমার অভিঙ্গতা।
২/ করিমগঞ্জের ভৌগলিক অবস্থান।
৩/ সিলেটের সাথে করিমগঞ্জের সম্পর্ক।
৪/করিমগঞ্জ যেভাবে সিলেট ও বাংলাদেশ থেকে আলাদা হলো।
৫/ কিভাবে ভারতের করিমগঞ্জে যাবেন ও ভিসা প্রক্রিয়া।
করিমগঞ্জে আমার অভিঙ্গতাঃ ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জে এবারে আমার তিন দিনের ভ্রমণ হলেও অনেক মজা ও খেলাধূলা করেছি আমার কিছু নতুন বন্ধুদের সাথে। বিশেষকরে শীতকাল থাকায় রাত্রে ব্যাডমিন্টন খেলার আয়োজন করা হয়। ২দিন অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছি, বেশিরভাগ ম্যাচে ধারুণভাবে জিতেছি। আর দিনের বেলায় আড্ডা, খাওয়া-ধাওয়া, বিশেষকরে ধান কাটার মৌসুম থাকায়; মাঠে গিয়ে কৃষকের ধান কাঠার দৃশ্য দেখা হয়েছে সেখানে গ্রামের ছেলে বুড়ো সবাই মাঠে কাজ করে আর মহিলারা বাড়িতে ধান ভাঙ্গা ও শুকানোর কাজ করে। আর দাদা অসুস্থ্য থাকায় তাকে সময় দিয়েছি উনার কাছ থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক উনার অভিঙ্গতা জানতে পারলাম। তিনি আমাকে বলেছেন, তিনি বাংলাদেশে বছরে ২-৩ বার আসতেন ব্যাবসার জন্য এবং সিলেটের বিয়ানীবাজারে উনার নানার ও অনেক আত্নীয়-স্বজনের বাড়ি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পুরো সিলেট জেলা জুড়ে।
করিমগঞ্জের ভৌগলিক অবস্থানঃ
সিলেটের সাথে করিমগঞ্জের সম্পর্কঃ দেশভাগের সময় বেশকিছু বিতর্কিত অঞ্চলের মধ্যে করিমগঞ্জ অন্যতম। করিমগঞ্জ বর্তমান ভারতের আসাম রাজ্যের একটি জেলা। ১৭৮৫ সালে যখন সুবা বাংলার দেওয়ানি ব্রিটিস ঈস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হস্তগত হয় তখন করিমগঞ্জ সিলেটের অংশ হওয়ায় ব্রিটিসদের অধীনে চলে যায়। কিন্তু সমগ্র সুবা বাংলা ব্রিটিসদের হাতে আসলেও করিমগঞ্জে ব্রিটিসরা ১ বছর পর্যন্ত কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। সেসময় দক্ষিণ করিমগঞ্জের রাজা রাধারাম নামক এক জমিদার করিমগঞ্জের বিশাল একটি অংশ নিজের অধীনে রাখতে সক্ষম হন। এই স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য তৎকালীন জমিদার রাধারামকে অনেকে নবাব রাধারাম বলতে শুরু করেন। ব্রিটিসদের সাথে প্রথমবার যুদ্ধে জয়লাভ করে রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারলেও পরেরবার তিনি পরাজিত হন এবং ব্রিটিসদের হাতে বন্দি হন। ঈস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সৈন্যরা রাজা রাধারামকে যখন সিলেটে নিয়ে যায় তখন তিনি আত্নহত্যা করেন। ফলে ১৭৮৬ সাল থেকে সমগ্র করিমগঞ্জের উপর ব্রিটিসরা তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়।
করিমগঞ্জ যেভাবে সিলেট ও বাংলাদেশ থেকে আলাদা হলোঃ এম এ হক বলেন, আমি পাকিস্থানের পতাকা ঘুটিয়ে আনি পরে ভারতীয় বাহিনী করিমগঞ্জ দখল করে। এম এ হক করিমগঞ্জে পতাকা উত্তোলন করে ১ সপ্তাহ বাংলাদেশের সাথে রাখতে সক্ষম হন। ১৮৭৮ সালে যখন সিলেটে পৌরসভা গঠন করা হয় তখন ব্রিটিস সরকার করিমগঞ্জকে মহকুমা করে সিলেটের সাথে জুড়ে দেন। করিমগঞ্জ মহকুমা বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু কিভাবে করিমগঞ্জ ভারতের অন্তর্ভুক্ত হলো?
কিভাবে ভারতের করিমগঞ্জে যাবেন ও ভিসা প্রক্রিয়াঃ
0 Comments