সাদা পাথর ভোলাগঞ্জ ভ্রমণ গল্প Shada Pathor Bholagonj Travel Story
সাদা পাথর
আপনারা জানেন যে ২০২০ সালটা করোনাভাইরাস এর বিস্তার ছিল ভয়াবহ। যাই হোক, ২০২১ সালটা এর বিস্তার খানিকটা কমে গেছে। এর মধ্যে নতুন বছরে কোথাও যাওয়া হয়নি। তাই ভাবলাম কোথায় যাওয়া যাক। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে টিক করলাম বাংলার কাশ্মীর খ্যাত সাদা পাথর ভ্রমণ করব।যেটি বাংলাদেশের সিলেট জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে অবস্থিত। যেদিকে চুখ যায় নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সুন্দর ভারতের মেঘালয়ের উঁচু উঁচু পাহাড়। আর এখানেই ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত। মেঘালয় থেকে নেমে আসা সচ্চ শীতল পানি নেমে আসছে বাংলাদেশের দিকে যেখান থেকেই ধলাই নদের উৎপত্তি। এই উৎপত্তি স্থলে প্রায় ৫-৬ একর জায়গা জুরে প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি হয়েছে সাদা পাথর এলাকার। এছাড়াও, মানুষ পাথর বালি খননের জন্য এই জায়গাটিকে নিচু করে ফেলেছে আর পানির স্রোত সাদা পাথরের স্তর তৈরি করেছে যেটি আজকের দৃশ্যমান সাদা পাথর এলাকা।
যেভাবে সাদা পাথরে যাবেন
সাদা পাথর যাওয়ার জন্য সিলেটের আম্বরখানায় আসতে হবে। এখান থেকে বিআরটিসি বাসে ও সাদা পাথর পরিবহনে যাওয়া বেশ ভালো। ভাড়া জন প্রতি পড়বে ৬০ টাকা। আপনারা যারা প্রকৃতি দেখতে ভালোবাসেন তারা দুতলা বাসের সামনের সিটে বসতে পারেন। আবার প্রাইভেট গাড়ি ও রিজার্ভ সিএনজি নিতে পারেন ভাড়া পরবে ৩০০-৫০০ টাকার মধ্যে। নৌকা ঘাট থেকে নৌকা ভাড়া করে নিতে হবে মূল স্পটে জাওয়ার জন্য। একটি নৌকা ভাড়া ৮০০ টাকা। তার মধ্যে যেতে পারবেন ৮-১০ জন যাত্রী। আশা করি নৌকা ভ্রমণ আরো মনোমুগ্ধকর হয়ে উঠবে।
কোথায় খাবেন ও থাকবেন
ভোলাগঞ্জে থাকা খাওয়ার জন্য ভালো কোনো ব্যবস্থা নাই। সাদা পাথর দোকান-রেস্তোরা থেকে যাই কিনবেন সব কিছুর দাম অনেক বেশি। তাই সিলেট সদরে জিন্দাবাজারে খাওয়া-দাওয়ার জন্য ভালো মানের রেষ্টুরেন্ট রয়েছে। এদের মধ্যে পানসি, ভোজন বাড়ি, পাঁচ ভাই, উন্দাল এছাড়াও অনেক ধরনের রেষ্টুরেন্ট রয়েছে। রাত্রি যাপন করতে পারেন পাঁচ তারকা মানের হোটেলে তার মধ্যে রোজ ভিউ, ষ্টার পেসিফিক, লা রোজ, নোরজাহান উল্লেখযোগ্য। সস্তায় থাকতে পারেন কয়েকটি হোটেলে যেগুলি আম্বরখানা ও শাহজালাল দরগা গেইটে রয়েছে।
কেন সাদা পাথর ভোলাগঞ্জ জনপ্রিয় পর্যটন স্পট
সাদা পাথর এর পানির স্রোত ও উৎপত্তি স্থলে সাতার কাটতে পারেন। সাতার কাটার জন্য টিউব ভাড়া নিতে পারেন ১০০ টাকা দিয়ে। আবার গোসল শেষে সময় কাটাতে পারেন ১০০ টাকার ভাড়ায় চেয়ারে। এই স্পটটি ছবি তোলার জন্য উত্তম একটি জায়গা। কারণ সচ্ছ পানির স্রোত, অর্ধ ডুবিত ছোট-বড় পাথর, পাহাড়ের দৃশ্য, মেঘের চাদর মেঘালয়, আর আপনার ছবি মিলে একাকার হয়ে যাবে। ঘোড়ায় চড়ে বেশ আনন্দ করতে পারবেন ভাড়া প্রতি হবে ৫০-৭০ টাকা। কালা মিয়ার ঘোড়া বেশ জনপ্রিয়। নৌকা ভ্রমণ ছাড়াও পেডেলবোট চালাতে পারেন।
কখন সাদা পাথরে যাওয়া উচিত
সাদা পাথরে যাওয়ার জন্য শীতকাল ও গ্রীষ্মকল বেশ উপযোগী। কারণ তখন পানি ও পানির স্রোত কম থাকে। আর বর্ষা ও বৃষ্টির সময় কিছুই দেখার থাকে না কারণ পানিতে তলিয়ে যায়।
যেসব সাবধানতা মেনে চলতে হবে
একটি দুর্ঘটনা বলে কয়ে আসে না। সাবধানতা অবলম্বন করাই স্বেয়। সাদা পাথরে ডুবন্ত পাথর অনেক পিচ্ছিল থাকে যার ফলে পাথরের আঘাতে আপনার মৃত্যুও হতে পারে। আর বর্ষা ও বৃষ্টির তীব্র স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে। মনে রাখবেন ভারতের সীমান্ত এলাকা এড়িয়ে যাবেন ও ময়লা প্লাস্টিক আবর্জনা ফেলে পরিবেশের এই সুন্দর্য নষ্ট করবেননা।
এই ছিল আমার আজকের ব্লগ দেখা হবে অন্য কোন সময়। আমার ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্কাইব করতে পারেন শুধু সার্চ করুন (M A Ahad Rony) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন। ততক্ষণ পর্যন্ত সুস্থ থাকোন নিরাপদে থাকুন।
৪ পর্বের ভ্রমণ ব্লগ দেখুন
1 Comments
very good
ReplyDelete